প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা মিয়ানমার ও বাহরিনকে হারিয়ে বাছাইপর্বে দুর্দান্ত সাফল্যের পর তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
এই ঐতিহাসিক অর্জন মাঠে উদ্যাপন করা হলেও, মাঠের বাইরের সংবর্ধনার আয়োজন ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কারণ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করছে রাত ২টা ৩০ মিনিটে—রাজধানীর হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে।
মেয়েরা মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরবেন মধ্যরাতে। বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরাসরি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেওয়া হবে তাদের। কিন্তু এমন গভীর রাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ ও সমর্থকদের অংশগ্রহণ কতটা সম্ভব—তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ছাদখোলা বাসে জমকালো গণসংবর্ধনা পেয়েছিল মেয়েরা। সেখানে এবার এশিয়ান কাপে খেলার ইতিহাস গড়েও মিলছে না সেই ধরনের উষ্ণতা—এ নিয়েও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ক্রীড়ামহলে।
জানা গেছে, দলের দুই ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা পরদিন সকালেই ভুটানে লিগ খেলতে রওনা দেবেন। আরও কয়েকজনেরও দ্রুত ভ্রমণসূচি রয়েছে। পুরো দলকে একসঙ্গে পাওয়ার সুযোগ আপাতত না থাকায় রাতেই সংবর্ধনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। তবে অনেকের মতে, ভুটানের লিগ শেষ হওয়ার পর বড় পরিসরে সংবর্ধনার আয়োজন করা যেত।
এর পাশাপাশি পুরোনো একটি ইস্যু ফের সামনে এসেছে—সাফ জয়ের পর ঘোষিত বোনাস এখনও হাতে পাননি নারী ফুটবলাররা। বাফুফে সে সময় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাত মাস পেরিয়ে গেছে, বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। এশিয়া কাপে খেলা নিশ্চিত করেও এখনো কোনো পুরস্কার বা বোনাস ঘোষণা আসেনি বাফুফে’র পক্ষ থেকে।
মাঠে ইতিহাস গড়া এই মেয়েদের প্রাপ্য সম্মান আর স্বীকৃতির প্রশ্নে তাই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।
একুশে সংবাদ/ ই.ট/এ.জে