আবার একই কায়দায় আউট বিরাট কোহলি। ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন কিছুতেই পিছন ছাড়ছে না টিম ইন্ডিয়ার। অ্যাডিলেডের পর গাব্বায় ও প্রথম ইনিংসে সমস্যায় রোহিতরা। প্রথমে ব্যাট করে ৪৪৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য নাম বিরাট কোহলি।
পার্থের দ্বিতীয় ইনিংসে শতক করার পর আর রানই করতে পারছেন না তিনি। শুধু অজি সফর নয়, বিগত ৫ বছরে বিরাটের পরিসংখ্যান পাতে দেওয়ার মতো না। তাঁর যে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্টাম্পের বল খেলতে সমস্যা রয়েছে তা এখন কারোর অজানা নয়। প্রতি ম্যাচে বোলাররা সেই একই জায়গায় টার্গেট করে সফল হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল তিনি তাঁর দুর্বলতা কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না।
গাব্বায়ও অনেকটা একই কায়দায় আউট হয়েছেন তিনি। হেজেলউডের উইকেটের অনেক বাইরের বল খেলতে যান বিরাট। বল ব্যাটে চুমু খেয়ে সোজা চলে যায় উইকেটকিপারের হাতে। আর এরপরেই বিরাটকে নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর।
তিনি জানান, বিরাটের সপ্তম-অষ্টম স্টাম্পের বল খেলার কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই। গাভাসকর বলেন, ‘এটা যদি চতুর্থ স্টাম্পের বল হতো তাও নয় বুঝতাম। এটা অনেক ওয়াইড ছিল, সপ্তম অথবা অষ্টম স্টাম্পে। এই ধরণের বল খেলার কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না।’ সুনীল গাভাসকর মনে করছেন বিরাটকে আরও ধৈর্য্য দেখানো উচিত ছিল, যেখানে তিনি দেখছেন যে যশস্বী এবং শুভমন খারাপ শট খেলে আউট হয়ে গেছেন।
গাভাসকর বলেন, ‘সে খুবই হতাশ করেছে। ও নিজেও হতাশ হবে। ঋষভ পন্ত ব্যাট করতে আসার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল, মাঠ ঢাকা হয় যেই কারণে। বিরাট যদি একটু ধৈর্য দেখাতো তাহলে কেএল রাহুলের সঙ্গে সেও নট আউট থেকে প্যাভিলিয়নে ফিরত।’ উল্লেখ্য, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ বলে ৭ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হয়ে যান কোহলি। বল বেশি লাফানোয় বুঝতে না পেরে আউট হয়ে যান তিনি। এর আগে পার্থেও একইভাবে আউট হয়েছিলেন বিরাট। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ বলে ১১ রানে স্কট বোল্যান্ডের বলে আউট হয়ে যান তিনি। পুরো ট্রেডমার্ক বিরাট কায়দায় আউট হন। চতুর্থ-পঞ্চম স্টাম্পের বলে বিরাটের সমস্যা নতুন কিছু নয়, সেখানেই লাগাতার বল করে সফল হন বোল্যান্ড।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :