দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সত্যেরই জয় হলো। ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিজ্ঞ আমলি আদালতে সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য প্রমাণিত বলে রায় ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভালুকা উপজেলার বাটারফ্লাই এলাকার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে অনলাইনে অপপ্রচার ও কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে ভালুকা থানায় একটি দলীয় মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, তিনি নাকি দলীয় কিছু কার্যক্রমে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন যা পরবর্তীতে পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে প্রমাণিত হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ, তথ্য-উপাত্ত ও ডিজিটাল অনুসন্ধানের মাধ্যমে তদন্ত পরিচালনা করেন। তদন্ত শেষে তিনি কোনো ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাননি।
পরবর্তীতে তিনি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (Final Report) দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিজ্ঞ আমলি আদালত তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা সেই প্রতিবেদনটি গৃহীত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুকে খালাস প্রদান করেন।
প্রশাসনিক ও দলীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘ তদন্ত শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অসত্য ও অমূলক প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, তাঁর কোনো ধরনের দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, আর্থিক অনিয়ম বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ন্যূনতম সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়নি।
এর ফলে আদালতের এই রায় শুধু একটি আইনি খালাস নয়, বরং এটি এক রাজনৈতিকভাবে নিপীড়িত নেতার নৈতিক ও সত্যনিষ্ঠতার প্রতীকী বিজয়।
দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু এই খালাসের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করলেন সত্যকে কোনো অপপ্রচার বা ষড়যন্ত্র চিরদিন চাপা রাখতে পারে না।
স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর এই আইনি সাফল্য তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
ভালুকা উপজেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, “যে মানুষটি জীবনের বড় অংশ দল ও আন্দোলনের জন্য উৎসর্গ করেছেন, তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা ছিল দুঃখজনক। আজ আদালতের রায়ে সত্যের জয় হয়েছে।”
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েও ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু আবারও প্রমাণ করলেন সততা ও আদর্শের রাজনীতি এখনো বেঁচে আছে। ভালুকার রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান এখন আগের চেয়েও দৃঢ়, এবং অনেকের মতে, এই রায়ই তাঁকে আগামী নির্বাচনে আরও বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে