চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবি’র বিরুদ্ধে ছিনতাই ও হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গণঅধিকার পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির সিফতি।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, কানসাট বাজার থেকে নিজের ব্যবহারের জন্য ২টি মোবাইল ফোন কিনে বাসায় ফেরার পথে কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে ৫৯ বিজিবি’র পোষাক পরিহিত ৪ জন সদস্য বাঁশ ও লাঠি নিয়ে পথরোধ করে সাথে থাকা একটি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ব্যাগটিতে নগদ ৮ লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। পরে ৫৯ বিজিবি’র সিও লে. কর্ণেল মো. গোলাম কিবরিয়াকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তখন এটি অস্বীকার করেন, পরে টাকা সহ ব্যাগ ফেরত দেবার মর্মে আমিসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাটালিয়নে আসতে বলেন। কিন্তু আমি ও আমার পরিবার, গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি আল আমিনসহ, ব্যাটালিয়নে গেলে সিও গোলাম কিবরিয়া টাকাসহ ব্যাগ ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেও নানারকম টালবাহানা করেন এবং তা ফেরত না দিয়ে ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়ে মামলার হুমকি দেন। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই জমি বিক্রির কষ্টার্জিত ৮ লক্ষ টাকা অতিদ্রæত ফেরতের দাবি জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি আল আমিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এবং গণঅধিকার পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির সিফতির পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ৫৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া মুঠোফোনে জানান, আলমগীর কবিরের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিজিবিকে হেয়প্রতিপন্ন করাই তার মূল উদ্দেশ্য। প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই ভারতীয় মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর সঙ্গে যুক্ত।
একুশে সংবাদ/এ.জে