ইম্পাক্ট ক্রিকেটার ইস্যুতে দুই মেরুতে দুই অধিনায়ক। একদিকে বর্তমান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা কদিন আগেই বলেছেন, আইপিএলের ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম তাঁর ঠিক মনে ধরছে না ব্যক্তিগতভাবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং আবার ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মকে সাধুবাদই জানাচ্ছেন।
আইপিএল এখন আর ১১ জনের খেলা নেই। আইপিএলে এখন খেলতে পারেন ১২ জন, তবে মাঠে থাকতে হয় ১১জনকে। অপর একজনকে পরিবর্ত হিসেবে নামানো যায়। যেমন ফুটবলের ক্ষেত্রে এক স্ট্রাইকারকে বসিয়ে অপর স্ট্রাইকারকে নামানো যায়। তেমনই জৌলুশে ভরা আইপিএলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এখানেও প্রাথমিকভাবে ১১জনকে বেছে নেওয়া হলেও এরপর একজনকে পরিবর্তন করে নতুন ক্রিকেটার আনা যায়। অর্থাৎ ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন অতিরিক্ত ব্যাটার খেলানো যায়, তেমন বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ব্যাটারদের বসিয়ে পরিবর্ত হিসেবে বোলার আনা যায় দলে।
ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম প্রায় সব দলই কম বেশি ব্যবহার করছে। কারণ তাঁদের মুল কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে খেলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ এবং দিনের শেষে দলের সাফল্য। যদিও বর্তমান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্পষ্টতই বলেছিলেন এই নিয়মের ফলে শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো অলরাউন্ডারদের বোলিং করা হচ্ছে না। যেটা জাতীয় দলের পক্ষে খারাপ। রোহিতের এই মন্তব্যের কারণ অবশ্যই সামনে টি২০ বিশ্বকাপ। আর এই মূহূর্তে শিবম দুবে আইপিএলে যে ফর্মে রয়েছেন তাতে তিনি সুযোগ পেতে পারেন দলে। কিন্তু অলরাউন্ডার শিবম তো গত দুবছর ধরে একটি বলও করেনি আইপিএলে। ফলে তাঁকে অলরাউন্ডার হিসেবে দলে যদি নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তাঁর বোলিং নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাবে। যদিও রোহিতের মন্তব্যের সঙ্গে এক মত নন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হেড স্যার রিকি পন্টিং
ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে গিয়ে পন্টিং কার্যত রোহিতের যুক্তির বিরোধিতাই করেছেন। পাল্টা যুক্তি খাড়া করে দিল্লি দলের হেড কোচ বলছেন, ‘ আমি এই বিষয় রোহিতের কথা শুনলাম, যে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের জেরে অলরাউন্ডাররা খেলা থেকে একটু সরে যাচ্ছে। তুমি জানো যে আট নম্বরে চাইলে একজন ব্যাটারকে খেলাতে পারবে। এরপর বোলিংয়ের সময় তাঁকে বদলে দিতে পারবে। রোহিত শিবম দুবে আর ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা বলল। বিষয়টা কোচ এবং দলের পক্ষে হয়ত ঠিক নয়, তবে এই খেলার মুল লক্ষ্য মানুষকে বিনোদন দেওয়া। ’
রিকি এই ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের বিষয়টি ছাড়তে বলছেন দর্শকদের ওপর। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘টি২০ হচ্ছে বিনোদনের একটা প্যাকেজ। তাই দর্শকরা কি বলছে বা কি চাইছে সেদিকেই নজর দিতে হবে। যদি সবাই পছন্দ করে যে দলগুলো ২২০-২৫০ করবে অনেক ম্যাচে তাহলে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার থাকুক। নাহলে আবার ১১জনের খেলাই ফিরে আসুক ’।
একুশে সংবাদ/এস কে