মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—যদি তারা গাজায় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়ার পথ বেছে নেবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
গাজা উপত্যকায় বিস্তীর্ণ ধ্বংস-ক্ষয় দেখা যাচ্ছে; স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সূত্রগুলো উল্লেখ করছে, ছোট-বড় বিস্ফোরণ ও স্থাবর ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ খুবই ভয়াবহ। গাজার সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বহু নিহত দেহ ও অনফাটক বোমা রয়েছে। মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি থাকলেও ইসরাইলি হামলা স্থানীয়ভাবে ভাটা দিয়েছে না—একদিনে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত বা নিহত হয়েছেন।
একই সময়ে ইসরাইল লেবাননের বেকা উপত্যকা ও দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এসব হামলায় হিজবুল্লাহর অস্ত্রশ্রেণী ও ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোতে আঘাত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, “যদি হামাস গাজায় মানুষ হত্যাকে অব্যাহত রাখে — যা চুক্তির অংশ ছিল না — তাহলে আমাদের সেখানে প্রবেশ করে তাদের ‘হত্যা’ করা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।” তিনি পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ বা ঘটনা উল্লেখ করেননি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখা যাচ্ছে—যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হামাসকে পরাস্ত করার জন্য একটি সমন্বিত সামরিক কৌশল প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন, এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইল তার লক্ষ্য পূরণে জোরদার ভূমিকা নেবে এবং কাউকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিলে কঠোর প্রতিফলন হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ইসরাইল এবং তার মিত্ররা পূর্ণমাত্রার সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে, যা অঞ্চলটিতে নতুন উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে