জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। একই দিনে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগালও এ সিদ্ধান্ত জানাতে যাচ্ছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্যানবেরা এ উদ্যোগ নিতে চলেছে। ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকে সতর্ক করেছিল যে স্বীকৃতি পরিস্থিতি জটিল করবে। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছে তার প্রশাসন। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর দাবি, এ উদ্যোগের জবাবে ইসরাইল পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয় বিবেচনায় আছে।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার রবিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরাইল গাজায় যুদ্ধবিরতি না করলে ও স্থায়ী শান্তিচুক্তিতে রাজি না হলে যুক্তরাজ্য তাদের নীতি পরিবর্তন করবে। এটি লন্ডনের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে বড় ধরনের কূটনৈতিক সরে আসা।
অন্যদিকে, ইসরাইল সরকার, যুদ্ধবন্দিদের পরিবার এবং কনজারভেটিভ দলের কয়েকজন নেতা এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, এমন পদক্ষেপ মূলত “সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে।” তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা বলছেন, শান্তি প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া নৈতিক দায়িত্বের অংশ।
একুশে সংবাদ/এ.জে