ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন রেড ক্রস কর্মী, একজন সাংবাদিক ও একাধিক শিশু।
সোমবার (২৬ মে) এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, ওই স্কুলটিতে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন, যাদের বেশির ভাগই গৃহহীন নারী ও শিশু। ইসরায়েলি বাহিনীর আকস্মিক বোমাবর্ষণে ভবনটি ধসে পড়লে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
গাজাজুড়ে অব্যাহত ইসরায়েলি স্থল অভিযান ও বিমান হামলায় গত এক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬০০ জনের বেশি। একইসঙ্গে প্রায় তিন মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধে পুরো উপত্যকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহ।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (WFP) জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যেতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩১ শতাংশই শিশু। দখলদার বাহিনীর বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযানে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল, জানিয়েছে গাজার জনসংযোগ কার্যালয়।
সেখানে জানানো হয়, যেসব এলাকায় হামলা চলছে, সেসব জায়গা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার ‘হুমকি’ দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী, কিন্তু নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বহু মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিরবতা এবং কার্যকর উদ্যোগের অভাবে মানবিক বিপর্যয় আরও গভীরতর হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে