ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানান, চলমান গাজা সংকটে মানবিক বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে কার্নি বলেন, “গাজায় মানুষের দুর্দশা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতির ক্রমাবনতি উদ্বেগজনক। এসব কারণেই আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে।”
তবে কানাডার পক্ষ থেকে এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে কিছু পূর্বশর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
ফিলিস্তিন প্রশাসনকে কার্যকর সংস্কারে অগ্রগতি আনতে হবে।২০২৬ সালের মধ্যে হামাসকে বাদ দিয়ে একটি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।ফিলিস্তিনকে নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, অর্থাৎ সেখানে কোনো সশস্ত্র বাহিনী থাকবে না।
কানাডার এই অবস্থান এমন সময় সামনে এলো যখন ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উভয়েই জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না হলে ইসরায়েলকে চাপ দিতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে, কানাডার অভ্যন্তরেও সরকারকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রায় ২০০ জন সাবেক কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে একটি উন্মুক্ত চিঠি লেখেন। তাতে তারা দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের চলমান কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, এসব পদক্ষেপ কানাডার মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
চিঠিতে তারা অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এ.জে