ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৪ জুলাই) হোয়াইট হাউজে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান ট্রাম্প। একইসঙ্গে ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি। অথচ এরপরই শুনি কিয়েভ কিংবা অন্য কোনো শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। কয়েকবার এমন ঘটনার পর বুঝেছি, তাঁর সঙ্গে আলোচনার কোনো মূল্য নেই। বছরের পর বছর ধরে তিনি আমেরিকার বিভিন্ন প্রেসিডেন্টকে বোকা বানিয়ে এসেছেন — বুশ, ক্লিনটন, ওবামা, বাইডেন— সবাইকেই।”
বৈঠকে ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি ৫০ দিনের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে রাশিয়ার ওপর নতুন কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে। এ শুল্ক শুধু রাশিয়াকেই নয়, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করা অন্য দেশগুলোকেও প্রভাবিত করবে।”
তিনি জানান, ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এর অর্থায়ন করবে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো। পাশাপাশি ন্যাটোর পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ৫ শতাংশ বরাদ্দের নতুন অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন তিনি।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, “ন্যাটো কাঠামোর মধ্যে থেকে ইউক্রেনের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্যাকেজ তৈরি করা হচ্ছে। ৫০ দিনের এই আলটিমেটামের পর হয়তো পুতিন বুঝতে পারবেন, আলোচনার প্রয়োজন কতটা জরুরি ছিল।”
এ বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ।
এদিকে, ইউক্রেনকে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “নিজেদের রক্ষায় ইউক্রেনের আধুনিক অস্ত্র প্রয়োজন। তাই যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম পাঠাবে।”
একুশে সংবাদ/ইন.ট/এ.জে