AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের জেরে ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯:১০ এএম, ৬ জুলাই, ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের জেরে ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন, টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। দেশটির প্রচলিত দুইদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে গঠিত এই দলের নাম রাখা হয়েছে ‘আমেরিকা পার্টি’।

শনিবার (৫ জুলাই) নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানান, দেশের রাজনীতিতে বিকল্প ধারা তৈরি ও নাগরিকদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে এই দল গঠন করছেন তিনি।

এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসা এবং বাজেট পরিকল্পনার কড়া সমালোচনার পরই মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর থেকেই মাস্ক নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন।

তিনি এক্সে লেখেন, “আমরা আসলে একদলীয় শাসনের ভেতরেই বাস করছি, যেখানে অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ ‘আমেরিকা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ।”

নতুন দলটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কি না, তা স্পষ্ট নয়। মাস্ক দলটির নেতৃত্ব, কাঠামো বা সদস্যপদ নিয়েও বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মাস্ক সম্প্রতি এক্সে একটি জরিপ চালিয়েছিলেন যেখানে ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন করা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল দরকার কি না?” — সেই জরিপে বিপুল ব্যবধানে ‘হ্যাঁ’ ভোট আসে। দল ঘোষণার পোস্টে মাস্ক সেই জরিপের ফল উল্লেখ করে লেখেন, “২:১ ব্যবধানে জনগণ নতুন রাজনৈতিক দল চায় — আর তারা তা পেতে যাচ্ছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন মাস্ক। তিনি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন তার প্রচারে। সেই নির্বাচনের পর তাকে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই) নামে একটি নতুন সরকারি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেট খাতে অপচয় শনাক্ত করা।

কিন্তু মে মাসে তিনি সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং ট্রাম্পের ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা শুরু করেন। এই পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে উল্লেখ করলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে যেতে পারে।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে

Link copied!