ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান ও গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রাণহানির সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বুধবার (৩০ জুলাই) একদিনেই সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০৪ জন, আর আহত হয়েছেন প্রায় ৩৯৯ জন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ-এর অভিযান শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ১৩৮ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর জবাবে ইসরায়েল ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা চলমান রয়েছে।
চলমান অভিযানের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীর চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
গাজায় দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে, গত চার মাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮ হাজার ৯৭০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করছে ইসরায়েল। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
এদিকে, গাজায় চলমান মানবিক সংকট ও ব্যাপক প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ইসরায়েলের ওপর সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার অভিযোগে’ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) মামলা করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল না করা এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে