নওগাঁর মান্দায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত ৯ টার দিকে ২ জনের নাম উল্লেখ করে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আজ বুধবার দুপুরে গ্রামের এক মাতবরের বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে থানায় যেতে পারছিলেন না তিনি।
ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, আমার মেয়ে গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড়ের একটি দোকানে নুডলস কেনার জন্য যায়। সে বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রিফাত হোসেন (২৪) মুখ চেপে ধরে নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লকের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে ধানী নামের এক ব্যক্তির সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ করে রিফাত। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিফাত হোসেন পলাতক আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়ে দোকান থেকে নুডলস না কিনে বাড়ি ফিরে শুয়ে পড়ে। সারাদিন খাওয়া দাওয়াও করেনি। গত সোমবার মেয়ের ধর্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারি।’
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ‘ওয়াসব্লকের ভেতরে নিয়ে আমার ছোটভাইকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে রিফাত খারাপ কাজ করেছে। এ সময় সেখানে ধানী দাদু বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ করলে রিফাত আমার বাবাকেও হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। ভয়ে আমি বাড়িতে কিছুই বলতে পারিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ‘গত সোমবার ‘ফারজানা ফারিয়া অন্তরা’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ষণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আমরা ধর্ষক রিফাতের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি।’
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, এ ঘটনায় আজ বুধবার রাত ৯ টার দিকে ২ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ও বাবা। অতিদ্রুত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে