ষড়ঋতুর দেশে প্রতিটি ঋতুরই নিজস্ব বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য আছে। শরৎকালও তার ব্যতিক্রম নয়। নীল আকাশ, শুভ্র মেঘ আর কাশফুলের সৌন্দর্যে ভাসে পুরো প্রকৃতি। সেই সৌন্দর্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা শরতের এই রূপ প্রকৃতির কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতিতে উপভোগ করছেন।
ফটোগ্রাফারের চোখে শরৎকাল:কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, “শরৎ শুধু ঋতু নয়, এটি জীবনের গল্প। আলো-ছায়ার খেলা, বাতাসের বিশুদ্ধতা আর কাশফুলের দোল—সবই ক্যামেরায় বন্দি করার মতো। প্রতিটি মুহূর্তই আলাদা গল্প বলে।”
শরতের সবচেয়ে সুন্দর জিনিস—কাশফুল: রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান আতিক বলেন, “মাঠে নামার আগে দূরে তাকালে দেখি, সাদা কাশফুল হাওয়ায় দুলছে। শরতের কাশফুল শুধু সৌন্দর্য নয়, খেলারও প্রেরণা দেয়।” তিনি শৈশব স্মৃতি স্মরণ করে যোগ করেন, “ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে কাশফুলের বাগানে দৌড়াতাম—সেই আনন্দ আজও মনে পড়ে।”
মায়ের হাতের তালের পিঠার টান: শরৎকাল মানেই তাল পাকার মৌসুম। তালের পিঠা, বড়া এবং তালের রসের পায়েস যেন এই ঋতুর অপরিহার্য খাবার। শিক্ষার্থীরা বাড়ির মায়ের রান্নার কথা সবচেয়ে বেশি মনে করেন। একজন শিক্ষার্থী বলেন, “এ সময় মা বাটি ভর্তি তালের বড়া নিয়ে হাজির হতেন। তাই এবার আগেভাগে বলেছি, তাল রস ফ্রিজে রাখার জন্য।”
শরৎ মানেই উৎসব—শারদীয় দুর্গাপূজা: শরৎকালে ফসল কাটার পর শুরু হয় দুর্গাপূজা। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাকেশ সাহা বলেন, “বর্ষার অবসান ও মেঘমুক্ত আকাশ পূজাকে বিশেষ করে তোলে। মানুষ এই ঋতুতে নতুন আনন্দ অনুভব করে।”
শরতের রঙে বিশ্ববিদ্যালয়: মাভাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে কাশফুলের শুভ্রতা, শিক্ষার্থীদের আড্ডা, খেলার মাঠের প্রাণচাঞ্চল্য ও আসন্ন দুর্গাপূজার উৎসব—সব মিলিয়ে শরৎকাল এখানে এক অপূর্ব আনন্দঘন আবহ তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে শরৎ শুধু ঋতু নয়, এটি সৌন্দর্য, স্মৃতি ও উৎসবের এক রঙিন নাম।
একুশে সংবাদ/এ.জে