ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার রাজনীতি ও জনসেবার ক্ষেত্রে এক অনন্য নাম আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মামুন। তরুণ, উদ্যমী ও অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ বর্তমানে ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উন্নয়নমূলক কাজ ও সামাজিক সেবায় তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা তাঁকে ভালুকাবাসীর, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, আস্থার প্রতীক করে তুলেছে।
মামুনের সেবামূলক যাত্রা নতুন নয়। গত ১৫ বছর ধরে তিনি ভালুকার মানুষের পাশে থেকেছেন। করোনার মহামারির সময় সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন, চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং দলীয় কর্মীদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫টিরও বেশি মসজিদে অনুদান দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ৭৫টির বেশি মসজিদ, মন্দির ও ঈদগাহ মাঠের মিম্বর উন্নয়নের বরাদ্দ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
৫ই আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভালুকার জন্য তিনি যে উন্নয়ন বরাদ্দ এনেছেন, তা এক কথায় অভূতপূর্ব। স্থানীয় উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে-
মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ মিম্বরের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ, রাস্তাঘাট, শিশু পার্ক, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, কারিগরি স্কুল, ফুটওভার ব্রিজ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২০ কোটিরও বেশি বরাদ্দ এরই মধ্যে শিশু পার্কের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে, কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায়। বহু রাস্তার কাজ চলছে পুরোদমে। শীঘ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ফুটওভার ব্রিজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক।
পরিবেশ রক্ষায়ও তাঁর উদ্যোগ দৃষ্টান্তমূলক। ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়ানে ব্যক্তিগত অর্থায়নে জমি ক্রয় করে তিনি ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট স্থান তৈরি করে দিয়েছেন। ফলে যত্রতত্র ময়লা ফেলার প্রবণতা কমেছে, যা স্থানীয় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত। একসময় রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়ে যাওয়া বহু তরুণকে তিনি নতুনভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ভালুকা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন নতুন উদ্যম ফিরে পেয়েছে।
তরুণ প্রজন্মকে সুস্থধারায় পরিচালিত করতে ক্রীড়ার গুরুত্ব সবসময়ই তুলে ধরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মামুন। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন হিসেবে ভালুকায় গড়ে উঠছে “ভালুকা স্পোর্টস একাডেমী”।
এই একাডেমীর মাধ্যমে স্থানীয় তরুণদের একাডেমিক চর্চার পাশাপাশি ক্রীড়ামুখী করা, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের গড়ে তোলা এবং ভালুকাকে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়ার মাধ্যমে পরিচিতি দেওয়াই মূল লক্ষ্য। এ উদ্যোগ ভালুকার তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
ভালুকার মানুষ জানে বিপদের দিনে যার ফোন নম্বর সবার আগে ডায়ালে আসে, তিনি হলেন মোস্তাফিজুর রহমান মামুন। মানুষের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনই তাঁকে আলাদা করে চেনায়।
নিজের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বলেন, “যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে জানাতে দ্বিধা করবেন না। আমি সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ।"
তিনি আরও বলেন, "আপনার পাশে একজন কর্মী হয়ে থাকতে চাই, নেতা হয়ে নয়।”
সামাজিক দায়িত্ববোধ, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, মানবিক সহানুভূতি ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার সমন্বয়ে আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মামুন আজ ভালুকার মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য নেতা ও তরুণদের আস্থার প্রতীক। অনেকেই বিশ্বাস করেন, আগামী দিনের ভালুকা গড়ে তুলতে তিনি হবেন একজন যোগ্য সেবক ও পথপ্রদর্শক।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে