দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি এবং হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে প্রার্থীরা মাঠে নামলেও বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের প্রচারণায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।
এর আগে বিকাল ৩টায় সিনেট ভবনে লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয়। তবে ব্যালট বরাদ্দের নীতিমালা নিয়ে আপত্তি ওঠায় শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে নতুন নিয়ম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, রাকসু, সিনেট ও হল সংসদের প্রতিটি পদে লটারির মাধ্যমে আলাদা নম্বর নির্ধারণ করা হয়।
তিন দশকের বেশি সময় পর রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবের আবহ বিরাজ করছে। নির্বাচনে ১০টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ছাড়াও অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাকসুতে মোট প্রার্থী ২৪৮ জন, সিনেটে ৫৮ জন, হল সংসদে প্রার্থী ৬০০ জন, রাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন, জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ১৪ জন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জিএস পদে ১৬ জন।
এদিন দুপুরে ‘ইউনাইটেড ফর রাকসু’ নামে একটি আংশিক প্যানেল সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের ভিশন ঘোষণা করে। বিশেষভাবে, তারা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। প্যানেলের পক্ষ থেকে শাহরিয়ার মোর্শেদ খান বলেন, “আমরা প্রচলিত ধারা থেকে সরে আসতে চেয়েছি। শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত করলে আমরা তাদের অধিকারই তুলে ধরব।”
ওএমআর শিটে ভোটগ্রহণ এবং ফলাফল গণনা করা হবে ওএমআর মেশিনেই—এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “২৮ হাজারের বেশি ভোট হাতে গুনতে গেলে কয়েক দিন সময় লাগবে। তাই দ্রুত ও স্বচ্ছ ফলাফলের জন্য ওএমআর ব্যবহৃত হবে।”
তবে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ কয়েকজন প্রার্থী ম্যানুয়াল ভোটগণনার দাবি জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, ওএমআর পদ্ধতিতে কারচুপির সুযোগ থেকে যেতে পারে।
একুশে সংবাদ/এ.জে