চলমান সংকট নিরসনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, “দুপুরে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে ব্যাংক এবং ট্রেজারি ভবনে তালা দিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে। তখন দুইজন সহকারী প্রক্টর আলোচনায় বসতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা বসতে রাজি হয়েছে। আলোচনা হবে নিঃশর্ত। বসলেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি।”
মঙ্গলবার বিকালে ভেটেরিনারি কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ডেকে তিনি আরও জানান, বহিরাগতদের হামলার বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দোলনরত প্রতিনিধি দলের সদস্য পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ এইচ এম হিমেল বলেন, “সন্ধ্যা ৭টায় প্রশাসন আমাদের সময় দিয়েছেন। আমরা বসব।”
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশুপালন অনুষদের ডিগ্রিকে একীভূত করে একটি ‘সমন্বিত’ বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেওয়ার দাবিতে ২৫১ জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে রোববার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
পরে কারা কী কারণে শিক্ষার্থীদের হামলা করেছে তা বের করতে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রোববার রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হলেও তারা যায়নি। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, “বিষয়টি সমাধান হোক আমরাও চাই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে আলোচনার বিষয়ে উপাচার্যকে অবহিত করা হবে। পরে উপাচার্যের পরামর্শ নিয়ে সমাধানের পথে অগ্রসর হতে হবে।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী হিমেল বলেন, “ছয় দফার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না। আমরাও জনভোগান্তি চাই না। সমস্যা বিবেচনায় বেলা ৩টার দিকে তালাবদ্ধ ব্যাংকের শাখাটি খোলে দেওয়া হয়েছে। ট্রেজারি ভবন এখনো তালাবদ্ধ এবং রেলপথ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে