বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবির সমর্থনে রেলপথ অবরোধ করেছেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা ছয় দফা দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দেন।
রেলপথ অবরোধ করার কারণে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ও ময়মনসিংহগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফাতেমানগর স্টেশনে আটকে আছে।
এর আগে সকাল নয়টার দিকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলা এবং ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কে আর মার্কেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে তাঁরা ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শিবলী সাদী বলেন, ‘বাকৃবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা যে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার চাই। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।’
তিনি আরও জানান, ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ছয় দফা দাবি:
১. অবৈধভাবে জারি করা হল ভ্যাকেন্টের নির্দেশনা দুপুর ২টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. হলগুলোতে চলমান সব ধরনের সুবিধা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং শিক্ষকদের মদদে বহিরাগতদের হামলার দায়ে প্রক্টোরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
৪. বহিরাগতদের ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৫. হামলায় জড়িত শিক্ষকবৃন্দ— কৃষি অনুষদের আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ আর রাফি, কামরুজ্জামান, পশুপালন অনুষদের বজলুর রহমান মোল্যা, জেনেটিক্সের মুনির, ডেইরি বিজ্ঞানের আশিকুর রহমান—এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. চলমান একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনটি ভিন্ন ডিগ্রি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে