ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা প্রতিদিনই বাড়িয়ে তুলছে লাশের মিছিল। নারী-শিশু বাদ যাচ্ছে না এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ থেকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে শিশুরাই।
গাজাবাসীর এই দুর্দশা গোটা বিশ্ববাসীকেই নাড়া দিয়েছে। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও। বাংলাদেশের উদীয়মান পেসার নাহিদ রানা সামাজিক মাধ্যমে গাজায় চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান জানান দিয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গাজায় বোমার আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনার ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন—"এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার ওপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।"
ক্রীড়া দিবসেও গাজার প্রতি সহমর্মিতা
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাও গাজার মজলুম জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন—"আজ যখন আমরা এখানে ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন পৃথিবী মানবতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায় দেখছে। গতকাল গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে মানুষের দেহ বোমার আঘাতে আকাশে উড়ছে।"
"এই দিনে আমরা গাজার মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাতে চাই। সেই সঙ্গে আমাদের আহ্বান, পৃথিবী থেকে মানবতাবিরোধী সকল কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক।"
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ওই দিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা পূর্ণ অবরোধে থাকায় সেখানে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা নেই, ঘাটতি দেখা দিয়েছে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের। চিকিৎসকরা বলছেন, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়াও এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :