৩৬ জুলাই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রবাসি যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) জোহানার্সবার্গের ফোর্ডসবার্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাউথ আফ্রিকার উদ্যোগে জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মাজহারুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রথম সচিব ড. জাকির হোসেন, ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকার সম্মানিত সভাপতি মো. আলী আকবর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেরাজ মিয়া, নেক মানি আফ্রিকার সিইও কাজী ফরহাদ কামাল, কমিউনিটি নেতা এডভোকেট আশরাফুল করিম, ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকার কেন্দ্রীয় পরামর্শ সভার সদস্য ও ঘাউটেং প্রভিন্সের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন, ঘাউটেং প্রভিন্সের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মুসলিম সোসাইটির সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান, শাপলা টিভির সিইও নোমান মাহমুদ, যমুনা টিভি আফ্রিকার প্রতিনিধি নুরুল আলম, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সভাপতি আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্মারক গ্রহণ করেন শাপলা টিভির সিইও নোমান মাহমুদ, যমুনা টিভি আফ্রিকা প্রতিনিধি নুরুল আলম, দৈনিক যুগান্তর আফ্রিকা প্রতিনিধি মো. শরীফ উদ্দিন, সময়ের কণ্ঠস্বর দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, আবুবকর সিদ্দিক সাগর, গিয়াস উদ্দিন কিরন, রবিউল হাসান টিপু, ইমাম হোসেন সোহেল, ওলি উল্লাহ, নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটবিহীন একটি দেশের আন্দোলনকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউনসহ নানা উপায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছেন। ফলে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গতি পেয়েছে।”
সভায় শহীদ আবু সাঈদসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। আহত, পঙ্গুত্বপ্রাপ্ত ও দৃষ্টিশক্তি হারানো বীর যোদ্ধাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় এবং শহীদ ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মেরাজ মিয়া বলেন, “আমি ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং ২৪ ছাত্র জনতার আন্দোলনও নিজের চোখে দেখেছি। কোনটিকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

