AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুয়েত–ঢাকা রুট থেকে উধাও জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের সিডিউল, বিপাকে হাজারো প্রবাসী


Ekushey Sangbad
লুৎফুর রহমান, কুয়েত
০৪:৫০ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

কুয়েত–ঢাকা রুট থেকে উধাও জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের সিডিউল, বিপাকে হাজারো প্রবাসী

কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা যে রেমিটেন্স পাঠান, সেই তালিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্স শীর্ষ ৩০ দেশের মধ্যে ৯ম স্থানে রয়েছে।

রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখা এই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, তাদের গুরুত্বের তুলনায় সরকারি সেবা ব্যবস্থা এখনও সন্তোষজনক নয়। তারই বড় উদাহরণ আবারও সামনে এসেছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংকট নিয়ে। ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে, ২৭ এপ্রিল থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত কুয়েত–ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অন্তত ৩২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এর সুযোগে অন্যান্য এয়ারলাইন্স টিকিটের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। যেখানে আগে ৮০–১০০ কুয়েতি দিনারে টিকিট পাওয়া যেত, সেই সময় একই টিকিটের দাম পৌঁছে যায় ২০০ দিনারের ওপরে। এতে ব্যাপক আর্থিক চাপ ও চরম ভোগান্তির শিকার হন কর্মব্যস্ত প্রবাসীরা।

চলতি বছরের মতো আগামী বছরও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক সিডিউল অনুযায়ী কুয়েত–ঢাকা–কুয়েত রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোনো ফ্লাইট দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে—তাদের কি আবারও কয়েকগুণ বেশি খরচে বিকল্প এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনতে হবে?

এই বিষয়ে জানতে কুয়েতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বিমান বাংলাদেশের স্থানীয় অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে বিমানের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কেন সিডিউল প্রকাশ করা হয়নি, অথবা নতুন সিডিউল কবে দেওয়া হবে—এসব প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ নীরব।

বিমান সিডিউল না থাকলে প্রবাসীরা যেমন বাড়তি ভাড়া, ভোগান্তি, টিকিট সংকট ও অতিরিক্ত আর্থিক চাপের সমস্যার মুখোমুখি হবেন, তেমনি বিমান বাংলাদেশ হারাবে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ বাজার। একই সঙ্গে দেশও হারাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব। যে রুটে নিয়মিত বিপুলসংখ্যক যাত্রী ঢাকায় যাতায়াত করেন, সেই রুটে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের সিডিউল না থাকা কেবল যাত্রীই নয়, রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কুয়েত প্রবাসীদের দাবি, রেমিটেন্সে তাদের অবদান বিবেচনায় নিয়ে সরকার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উচিত:সারা বছর নিরবচ্ছিন্ন সিডিউল রাখা।হজ মৌসুমেও রুটটি চালু রাখা।আগাম ঘোষণা দিয়ে যাত্রীদের প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া।টিকিট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

কারণ দিনের পর দিন বাড়তি খরচ, দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় থাকতে বাধ্য হওয়া রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রতি এটি ন্যায়সংগত নয়।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!