পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এক মাস জামাতে আদায় করলে আল্লাহ কবরে শাস্তি দিবেন না, দুনিয়া ও আখিরাতে মর্যাদা দিবেন এবং বিশেষ পুরস্কারও রাখবেন—এমন অনুপ্রেরণামূলক কথাটি বলেছিলেন ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকার সভাপতি মো. আলী আকবর।
রমজান মাসে ছোট্ট বালক ইব্রাহীমকে মসজিদে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়ে সভাপতি বলেছিলেন, “যদি তুমি নিয়মিত নামাজ পড়ো, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার দুটোই অর্জন করবে।” ইব্রাহীম উৎসাহিত হয়ে জানতে চাইল, “কি পুরস্কার হবে?” সভাপতির উত্তর ছিল, “তোমার জন্য বিশেষ একটি পুরস্কার রয়েছে।”
ইব্রাহীম জন্মগ্রহণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। বয়স মাত্র নয় বছর, ক্লাস থ্রিতে পড়ছে। পরিবারে তিনি ১ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। জোহানেসবার্গের নিউটাউন শহরে বসবাস করেন। পিতা আবুল কাশেম ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকার কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এবং একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
রমজান থেকে গত সাত মাস ধরে ইব্রাহীম নিয়মিত মসজিদে নামাজ আদায় করছে। প্রচণ্ড শীতেও এশার ও ফজরের নামাজ জামাতে বাদ যায়নি। মাঝে মাঝে মসজিদের এক কোনে কুরআন তেলাওয়াতও করেন। ছোট ভাই মোহাম্মদকেও মসজিদে নিয়ে আসে। তার এই আচরণ দেখে মসজিদের মুসল্লিরা মুগ্ধ, এবং ইমাম ও সবাই তাকে আদর-স্নেহের সঙ্গে ডাকেন।
একদিন সন্ধ্যায় তার আব্বু ইব্রাহীমকে একটি বাইসাইকেল উপহার দেন। আনন্দে ইব্রাহীম বলল, “এ কি আমার পুরস্কার?” আব্বু বলেন, “হ্যাঁ, এটাই তোমার পুরস্কার।” কিছুদিন পর ফজরের নামাজের সময় কাকতালীয়ভাবে সভাপতির সাথে দেখা হলে সে বলল, “থ্যাঙ্ক ইউ আঙ্কেল, আমি আমার গিফট পেয়েছি।”
ইসলামিক ফোরামের ঘাউটেং প্রভিন্সের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, “ইব্রাহীম খুব মিষ্টি ও আদরযোগ্য ছেলে। সবাই তাকে ভালোবাসে। আল্লাহ তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করুন এবং ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্বের জন্য কবুল করুন—আমিন।”
ইব্রাহীমের গল্প প্রমাণ করে, অনুপ্রেরণা এমন এক শক্তি, যা শিশুকেও কঠিন শীত, ঝড়-বৃষ্টি সত্ত্বেও মসজিদে এসে নামাজ পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

