পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগে এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিটি মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত হলেও তা প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর)।
বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মচারী নাম মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিএসি) এর অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন ট্রেনিং/ওয়ার্কশপের সম্মানী স্লিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল , উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: শামীম আহসান -এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে মাহফুজুর রহমান বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারারের স্বাক্ষর নকল করে ট্রেনিং/ওয়ার্কশপের সম্মানী স্লিপের মাধ্যমে প্রায় ৩৮,০০০ টাকা উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামীম রেজা বলেন, আমি যতটুকু জানি উনি (মাহফুজ) মোটামুটি ভাল মানুষ। আমাদের কিছু অতিথিদের সম্মানী দিতে ডিলে হয়, মাহফুজ সাহেব নিজেই সকলকে সম্মানী বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন। তবে কিছু অতিথি তাদের সম্মানী যথাযথ সময় না পেলে মাহফুজ সাহেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোন সদুত্তর দিতে না পারলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বিষয়টা এখন আমার দায়িত্বে নেই। এখন প্রশাসনিকভাবে তদন্তনাধীন রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

