বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ মাহিদকে স্বামী হিসেবে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মালদ্বীপের তরুণী মাইশা আবদুল্লাহ। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুই পরিবারের সম্মতিতে রাজধানী মালির সুনামধন্য এলই সুখ ক্যাটারিং রেস্টুরেন্টে যুগলের বিবাহ বন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের নিকট আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধব উপস্থিত ছিলেন, এবং এটি পরিণত হয় দুই দেশের সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধনে।
অনেকের কাছে মালদ্বীপ ড্রিম ডেস্টিনেশন বা স্বপ্নের গন্তব্য। অপরূপ সৌন্দর্যের এই দেশে নির্মাণকর্মী থেকে ব্যবসায়ী—বিভিন্ন কারণে দিন দিন বড় হচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটি। এরমধ্যে দেশটিতে স্থায়ী হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্থানীয় নাগরিকের সংখ্যাও কম নয়। তারা মনের ভেতরে বাংলাদেশকে ধারণ করলেও আচার-আচরণ ও সংস্কৃতিতে দুই দেশের মেলবন্ধন বহন করেন। ঠিক এমন এক অনন্য সংস্কৃতির মেলবন্ধন তৈরি করলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ মাহিদ ও মালদ্বীপের তরুণী মাইশা আবদুল্লাহ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের প্রবাসী ব্যবসায়ী কবির হোসেন ও আয়শা মাদিহার ছেলে মোহাম্মদ মাহিদ এবং মালদ্বীপের স্থানীয় নাগরিক আব্দুল্লাহ ওয়াহিদ ও খাদিজা মুহাম্মদের কন্যা মাইশা আবদুল্লাহ।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা দুই পরিবারের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ও আন্তরিকতার ভিত্তিতেই সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের নিকট আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধব উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃসাংস্কৃতিক এই বিয়েতে মাহিদ ও মাইশার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ছিলেন। অন্যদিকে মালদ্বীপের কন্যা পেয়ে বরের বাবা কবির হোসেনও ছিলেন উৎফুল্ল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও বধূদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বরের চাচা ও মালদ্বীপ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামও তাদের ধন্যবাদ জানান।
পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল দুই দেশের সংস্কৃতির সমন্বয়। মালদ্বীপের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ছোঁয়া যেমন ছিল, তেমনি বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিও চোখে পড়ার মতো। এই বিয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বন্ধুত্বের সেতুতে যুক্ত হলো আরও একটি নতুন অধ্যায়, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে