হাতিয়া দ্বীপকে জেলা ঘোষণা এবং নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও প্রস্তাবিত হাতিয়া জেলা নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে মালদ্বীপে কর্মরত বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধারা স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করা হয়। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বরাবর পাঠানো এই স্মারকলিপি হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়।
বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসীদের পক্ষে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন প্রবাসী সেলিম মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন বহির্বিশ্ব সংগ্রাম পরিষদ, মালদ্বীপ শাখার সভাপতি আবু আহাম্মদ সেলিম মিয়া, শমিম রাজ, মো. সোহান, জাহাঙ্গীর আলম, আহাম্মদ আলী, বেলাল হোসেন, নুর ইসলাম প্রমুখ।
প্রবাসীরা বলেন, “দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির প্রায় ৩৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি সাত লাখেরও বেশি প্রবাসী নোয়াখালীবাসীর রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাই আমরা চাই—ঢাকা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের কুমিল্লা নয়, বরং ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত স্বয়ংসম্পূর্ণ নোয়াখালীকেই বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হোক।”
তারা আরও বলেন, “২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে সরকার সরে এসেছে। বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের এক কোটি মানুষের মতামত উপেক্ষা করে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ বৈষম্যমূলক ও অযৌক্তিক।”
এ সময় তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা নিরাপদ নোয়াখালী বিভাগ চাই—এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।”
বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. সোহেল পারভেজ বলেন, “নোয়াখালী জেলার প্রবাসী ভাইদের স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবো।”
একুশে সংবাদ/এ.জে