AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, বাংলাদেশিসহ ৯০ জনকে জীবিত উদ্ধার


Ekushey Sangbad
প্রবাস ডেস্ক
০৯:০৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, বাংলাদেশিসহ ৯০ জনকে জীবিত উদ্ধার

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা চলাকালে লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ৯০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৭৬ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত উপকূলীয় শহর সাবরাথা রেড ক্রিসেন্ট জানায়, সোমবার রাতে নৌকাডুবির খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়, যা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো নিকটবর্তী সুরমান বন্দরসংলগ্ন উপকূল থেকে পাওয়া গেছে।

রেড ক্রিসেন্টের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা মরদেহগুলো সাদা ব্যাগে ভরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলছেন এবং জীবিতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, লিবিয়ার আল-জাওইয়া অঞ্চল থেকে যাত্রা করা কাঠের নৌকাটি সমুদ্রে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়। এতে ১৮ জন প্রাণ হারান।

সংস্থাটির হিসাবে, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৬৪ জন, যাদের মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি, ৩১ জন সুদানি (একজন নারী ও এক শিশু), ১২ জন পাকিস্তানি এবং তিনজন সোমালি নাগরিক। তবে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের সংখ্যা ৯০। নিহতদের জাতীয়তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আইওএম এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দেয়, নিরাপত্তা ও জীবিকার সন্ধানে বিপজ্জনক সমুদ্রপথে নামা মানুষরা কতটা ভয়াবহ ঝুঁকি নেয়।”

চলতি মাসের শুরুর দিকে লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তিউনিশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকা থেকে দুই সপ্তাহে অন্তত ৬১ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথ বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী অভিবাসন রুট হিসেবে পরিচিত। আইওএমের “মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট” অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই পথে এক হাজার ৪৬ জন নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে লিবিয়ার উপকূলে।

আইওএম জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শারীরিক ও মানসিক পুনর্বাসনে তারা স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন পথ প্রসারিত করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!