কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোদালকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু-কে এলাকাবাসী ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের উত্তর চরসাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামে।
রাজীবপুর থানার সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাত ও ষড়যন্ত্রমূলক পোস্টার দেয়ালে লাগানোর সংবাদ পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পুলিশ জানতে পারে, চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু তার অনুসারীদের নিয়ে সরকার উৎখাতের গোপন বৈঠক করছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছক্কুসহ তিন-চার শতাধিক লোক তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া চালায়। একপর্যায়ে পুলিশ চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করলে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পুলিশ কৌশলে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উত্তর চরসাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রহিম এবং মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।
ঘটনায় রাজীবপুর থানার এসআই আতিকুজ্জামান, এসআই আরজ আলী, এসআই গোলাম মোস্তফা, এএসআই জয়ন্ত, এএসআই হাবিব এবং পুলিশ সদস্য রাশেদুল আহত হয়েছেন।
ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, আহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ছয়। গ্রেপ্তার দুইজনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে তিন-চার শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৯/১০/১২/১৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “রাজীবপুর ও কোদালকাটি ইউনিয়নে সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, আইনের আওতার বাইরে কেউ নয়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

