কুয়েতে সম্প্রতি ই ভিসা চালু হওয়াতে প্রবাসীদের মধ্যে ধারুন সাড়া জাগিয়েছে।কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম দ্যা আরব টাইমসের এক প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে যে, কুয়েতের ছয়টি গভর্নরেটের অভিবাসন বিভাগগুলো গত বছরের জুলাই মাসে “Kuwait Evisa” ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ভিজিট ভিসা অনুমোদন করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, নতুন ভিসা ব্যবস্থা এখন সব জাতীয়তার নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, যেখানে পূর্বে কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য প্রবেশে সীমাবদ্ধতা ছিল। বর্তমানে প্রতিটি রেসিডেন্সি বিভাগ প্রতিদিন গড়ে ১,০০০টি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করছে, অর্থাৎ ছয়টি গভর্নরেটে দৈনিক মোট প্রায় ৬,০০০ টি ভিজিট ভিসা অনুমোদিত হচ্ছে।
সূত্রটি আরও জানায়, ভিসা অনুমোদনে কোনো নির্দিষ্ট জাতীয়তার আধিপত্য নেই।কিছু দিনে আরব প্রবাসীরা সংখ্যায় এগিয়ে থাকেন, আবার অন্য দিনে এশীয় নাগরিকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতাও দেখা যায়। সাম্প্রতিক ভিসা বৃদ্ধির পেছনে কুয়েতে অনুষ্ঠিত গালফ কাপ “Gulf Zain 26 প্রতিযোগিতাকেও একটি বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পর্যটন খাতকে আরও উজ্জীবিত করেছে।
অধিকর্তা ব্যাখ্যা করেন যে, এই ই-ভিসা প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য হলো পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং কুয়েতে প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজ করা। যাতে দর্শনার্থীরা সহজেই পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক ভিসা পেতে পারেন। বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ের আত্মীয়দের (যেমন চাচাতো, মামাতো, খালাতো ভাইবোন) জন্য ভিসা দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, মাসিক বেতন কম যেমন ২৫০ কুয়েতি দিনার বা তার আশপাশে এমন প্রবাসীদের আত্মীয়দের জন্য ভিসা অনুমোদনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে।
বয়স্ক আত্মীয়দের জন্য পারিবারিক ভিজিট ভিসাও বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যেখানে ভিসা অনুমোদন প্রবাসী স্পনসরের পেশা ও বেতনের উপর নির্ভর করছে।
সূত্রটি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, কুয়েতে ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে কাজ করা দর্শনার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ধরা পড়লে তাকে এবং তার স্পনসর উভয়কেই দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, ফলে তারা আর কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
একুশে সংবাদ/এ.জে