AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নির্বাচন ছাড়া কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করি না: মির্জা ফখরুল


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১২:৫৭ পিএম, ৬ আগস্ট, ২০২৫

নির্বাচন ছাড়া কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করি না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জনগণের রায় নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ বিএনপি গ্রহণযোগ্য মনে করে না। তার ভাষায়, জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে বিশ্বাস করি না।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই জাতীয় চার্টার ও নির্বাচনকালীন সরকারের ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বরাবরই নেতিবাচক মানসিকতা পোষণ করে, তারা এবারও হতাশ হয়ে আছে। আমরা আশা করি, তারা এ ঘোষণাপত্রকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করবে এবং একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে যে ধরনের জনকল্যাণমুখী ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত কাজ করেছেন, তাতে আমরা বিশ্বাস করি তিনি কখনো এমন কিছু করবেন না যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৬ বছরে দেশের জনগণ একটি স্বৈরশাসক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে এসেছে। তারা গুম, খুন, জেল-জুলুমসহ নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে শুধু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংক লুট, শিক্ষাঙ্গনে দখলদারিত্ব, শেয়ার বাজারে প্রতারণা—সবই হয়েছে এই শাসনামলে।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি শুরু থেকেই এসব অনিয়ম ও দুঃশাসনের প্রতিবাদ করেছে। রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন চালিয়ে এই প্রতিবাদকে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা, সাজা, কারাবরণ—এসব ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক দমন কৌশল। এমনকি কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেক নেতা-কর্মী।

ফখরুল বলেন, হাজারো মামলা ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপির নেতাকর্মীরা হার মানেনি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের প্রতিটি স্তরের নেতা-কর্মী দৃঢ়ভাবে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন তীব্র রূপ নেয় এবং স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে। এরপর নতুন আশার সঞ্চার হয় দেশের মানুষের মাঝে—একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন জেগে ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সব দলের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সমন্বিত রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে তিনি ৫ আগস্ট “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রকাশ করেন।

বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। তাদের বিশ্বাস, এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশে একটি মানবিক, ন্যায়নিষ্ঠ ও প্রগতিশীল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যারা এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন কিংবা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা।

 

একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে

Link copied!