ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তবে একইসঙ্গে তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কিছু অনিয়মের অভিযোগও তুলেছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানাই—এটাই গণতন্ত্রের চর্চা। তবে দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়েছে।”
তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু তথ্যের বিরোধিতা করে বলেন, “সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। অথচ তারা তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। ছাত্রদল দলীয়ভাবে অংশ নিয়েছে এবং যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরও আমরা শুভেচ্ছা জানাই।”
আগামী দিনের রাজনীতি প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, “২৪ সালের পর সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের সংগ্রাম। দেশে গণতান্ত্রিক ও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
ডাকসুর প্রভাব নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “বড় দলের ব্যানারে নির্বাচিতরা সংসদে যেতে পেরেছেন, কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পারেননি। ছাত্ররাজনীতি এমন হওয়া উচিত নয়, যা স্বৈরতান্ত্রিক ধারা তৈরি করে।”
নারীর ভূমিকা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “পরিবারে নারীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তাই সংগঠনকে শুধু স্লোগাননির্ভর না করে পরিবারভিত্তিক এবং কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।”
তিনি আশ্বাস দেন, তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচির আলোকে নারীর উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি ৫ শতাংশ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে, ফলে সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা রুনা, সাধারণ সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা তামান্না, দক্ষিণ মহিলা দলের সভাপতি রুমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে