আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইনোভেশন কনসাল্টিং চালিয়েছে তাদের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে রাউন্ড টু’। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও আর্কাইভ ভবনে এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফল প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সরওয়ার।
৮টি বিভাগের ৬৪ জেলা থেকে ৯ হাজার ৩৯৮টি পরিবার/খনার ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটার এ জরিপে অংশ নেন।
জনপ্রিয়তার চিত্র
বিএনপি: ৪১.৩০%
জামায়াতে ইসলামী: ৩০.৩০%
আওয়ামী লীগ: ১৮.৮০%
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): ৪.১০%
ভোটারদের মতে, সরকার গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বিএনপির।
বিএনপি: ৪০%
জামায়াত: ২৩.৩%
আওয়ামী লীগ: ১২.১%
এনসিপি: ৩.৮%
ভোট দেওয়ার ধারা
৬৫.৫% ভোটার প্রার্থীভিত্তিক ভোট দিতে আগ্রহী
১৪.৭% কেবল প্রতীক দেখে ভোট দেবেন
স্থানীয় কার্যক্রমে সন্তুষ্টি
বিএনপি: ৮.২%
জামায়াত: ১৩.৭%
এনসিপি: ৯.১%
তরুণ ও নারী ভোটাররা জামায়াতের কার্যক্রম নিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি সন্তুষ্ট।
আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ
৪৫.৫৮% ভোটার মনে করেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া উচিৎ নয়
৪৫.৭৯% মনে করেন, সব দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিৎ
আওয়ামী লীগের অংশ না নিলে তাদের ভোটারদের বড় অংশ অন্য দলে ভোট দিতে আগ্রহী:
বিএনপি: ২০%
জামায়াত: ১৪.৮%
এনসিপি: ২.১%
ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে প্রত্যাশা
ভোটাররা বিশেষভাবে পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলার নিরপেক্ষতা চান। তবে একটি বড় অংশ এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন।
পূর্বের জরিপের তুলনা
গত মার্চের জরিপের তুলনায় সেপ্টেম্বরের জরিপে—
বিএনপির শেয়ার কমেছে ০.৪০ পয়েন্ট
জামায়াতের শেয়ার কমেছে ১.৩ পয়েন্ট
আওয়ামী লীগের শেয়ার বেড়েছে ৪.৮০ পয়েন্ট
আঞ্চলিক পরিস্থিতি
বিএনপি: ৬টি বিভাগে এগিয়ে
জামায়াত: রংপুরে এগিয়ে
আওয়ামী লীগ: বরিশালে এগিয়ে
এই জরিপ অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে, তবে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে