গাজামুখী মানবিক মিশনে যোগ দিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, “আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশি একজন ফটোগ্রাফার ও লেখক। যদি আপনি এই ভিডিওটি দেখছেন, তাহলে বুঝবেন আমরা সমুদ্রে আটক হয়েছি—আমাদের ইসরায়েলি বাহিনী অপহরণ করেছে। এই বাহিনী গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ঘটছে। আমি আমার সহকর্মী, বন্ধু এবং বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানাই, যেন তারা ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে সংগ্রাম চালিয়ে যান।”
তিনি ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর (এফএফসি) উদ্যোগে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা করা ‘কনশানস’ নামের জাহাজে ছিলেন। জাহাজটিতে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও চিকিৎসা পেশাজীবীরাও অংশ নিয়েছিলেন।
এর আগে ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে গাজার অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে এক বহর যাত্রা শুরু করে। তাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীরা যুক্ত হন। এর ধারাবাহিকতায় ১ অক্টোবর গাজামুখী ‘কনশানস’ জাহাজ যাত্রা শুরু করে, এবং তাতেই ছিলেন শহিদুল আলম।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটি গাজার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় পৌঁছালে ইসরায়েলি নৌবাহিনী সেটি আটক করে এবং এর আরোহীদের হেফাজতে নেয়। শহিদুল আলমের ভিডিওটি আটক হওয়ার পরপরই প্রকাশিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে