AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শহীদ মিনারে ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিককে শেষ শ্রদ্ধা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:০৫ পিএম, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

শহীদ মিনারে ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিককে শেষ শ্রদ্ধা

ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রতত্ত্ববিদ আহমদ রফিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ সমবেত হয়েছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ সেখানে পৌঁছালে ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিপ্রেমীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স শহীদ মিনারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধারত জনতা তাকে ঘিরে ফেলেন। পরে ‘আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ (বারডেম) হাসপাতালে দান করা হবে, যা ছিল তার শেষ ইচ্ছা।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, মরদেহ শোকযাত্রার মাধ্যমে হাসপাতালে নেওয়া হবে, যেখানে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় এটি ব্যবহৃত হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৬ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমদ রফিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্সসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।

১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া আহমদ রফিক স্ত্রী হারানোর পর রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরে একা বসবাস করতেন। নিঃসন্তান এই ভাষাসংগ্রামীর জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিল তার বিশাল বইয়ের ভাণ্ডার।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গবেষণায় তার অবদান অনন্য। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন তিনি। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন। দুই বাংলায় রবীন্দ্রচর্চায় অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি প্রদান করে।

২০১৯ সালে তার দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে, পরে তিনি প্রায় সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে পড়েন। ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভাঙার পর তার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়। জীবদ্দশায় সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে রাষ্ট্রীয় সহায়তার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবী সমাজ।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!