ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় নতুন করে আরও ৭২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিনভর এ হামলার ঘটনা ঘটে। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৬৫৬ জনের বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম গাজার বাস্তুচ্যুত পরিবারের তাঁবুতে গোলাবর্ষণে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজার টিবা–২ আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণে দুজনের মৃত্যু হয়। উত্তর-পশ্চিম গাজার নাসের স্ট্রিটে বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত হন।
এছাড়া আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালের নিকটে প্যালেস্টাইন স্কোয়ারে ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় একজন নিহত হন এবং দেইর আল-বালাহ শহরে একটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের জালাল স্ট্রিটে গোলাবর্ষণে আরও চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু।
ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় এখনও ধারাবাহিকভাবে বোমাবর্ষণ চলছে। এতে আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান অভিযানে গাজার জনপদ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা আগেই জানিয়েছে, লাখো মানুষ চরম দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে