মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রক্ষণশীল কর্মী শার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রিপাবলিকান তরুণ ভোটারদের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই নেত্রীকে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
ইউটাহ’র গভর্নর স্পেন্সার কক্স ঘটনাটিকে “রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড” আখ্যা দিয়ে বলেন, “আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক কালো দিন। এটি পুরো জাতির জন্যই বেদনাদায়ক।”
ঘটনার পরপরই ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিতভাবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কার্ক একটি সাদা তাঁবুর নিচে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তাঁবুর পেছনে লেখা ছিল— “দ্য আমেরিকা কামব্যাক” ও “প্রুভ মি রং”। এসময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপর কার্কের গলার বাঁ পাশ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। দর্শকদের চিৎকার আর বিশৃঙ্খলার মধ্যেই তাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ঘটনাস্থল ছিল ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোরেনসেন সেন্টারের সামনের প্রাঙ্গণ। সেখানে কার্ক তার অলাভজনক সংস্থার আয়োজনে এক বিতর্কে অংশ নিচ্ছিলেন। গুলির আগে তিনি অস্ত্রসহিংসতা নিয়ে দর্শকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন।
পরে গভর্নর কক্স জানান, কালো পোশাক পরা বন্দুকধারী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কিছুটা দূরের একটি ছাদ থেকে গুলি ছোড়ে।
ঘটনার পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শার্লি কার্কের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ৩১ বছর বয়সী এই কর্মী ছিলেন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ নামের তরুণ সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। ট্রাম্প তাকে “সত্য ও স্বাধীনতার শহীদ” হিসেবে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, “উগ্র বামপন্থীদের প্ররোচনাতেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে