ক্যামেরুন সীমান্ত সংলগ্ন নাইজেরিয়ার বর্নো প্রদেশের কুমশে এলাকায় একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী। এতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের সশস্ত্র জঙ্গি বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৪ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
নাইজেরিয়ান এয়ার ফোর্স (এনএএফ) জানায়, সেনাদের ওপর হামলার প্রস্তুতির খবর পেয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিমান হামলা চালানো হয়। চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবেই এ আক্রমণ পরিচালিত হয়।
এনএএফের মুখপাত্র এহিমেন এজোদামে জানান, অভিযানের পর স্থলবাহিনীর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং সেনাদের অবস্থানকে ঘিরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র সংগঠন বোকো হারাম ও আইএসডব্লিউএপি (আইসিসি ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স)-এর তৎপরতা বেড়েছে। এ গোষ্ঠীগুলো সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে হতাহতের পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র দখল করছে।
নাইজেরিয়ার পাশাপাশি ক্যামেরুন, চাদ ও নাইজার সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রায় ১৬ বছর ধরে চলমান এই সংঘাত ২০১৫ সালের পর কিছুটা কমলেও, চলতি বছরের শুরু থেকে হামলার ঘটনা আবারও বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের হিসেবে, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর নাইজেরিয়াকে ৩৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, যা কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে রকেট, বোমা ও বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, নতুন অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার সেনারা সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে আরও কার্যকরভাবে অংশ নিতে পারবে এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে