কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী উপজেলা ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। মৌসুমের এই সময়ে জমিতে সার প্রয়োগ না করলে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
কৃষক সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে আমন ধানসহ বিভিন্ন শাকসবজি ও অর্থকরী ফসলের জন্য ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত সার না থাকায় কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। যারা সার পাচ্ছেন, তাদের অনেককেই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, “এখন ধানের জমিতে ইউরিয়া ও টিএসপি দেওয়ার সময়। কিন্তু বাজারে ঠিকমতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলেও দাম বেশি। এভাবে চললে আমরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ব।”
আরেক কৃষক সাইফুর রহমান জানান, “প্রতি মৌসুমেই কোনো না কোনোভাবে সার সংকট হয়। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ। জমিতে ঠিক সময়ে সার না পেলে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসবে।”
কৃষকদের দাবি, সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ডিলারদের অনিয়ম এবং বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, “সার সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে কার্যক্রম চলছে। ডিলারদের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের মাঝে সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আমরা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছি।”
স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের মতে, এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে এবং কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে