জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। এসময় সহপ্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
তানজিলা বৈশাখী অভিযোগ করেন, “তাজউদ্দীন হলে আমাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকায় ছবির অনুপস্থিতি, ২১ নম্বর হলে সৃষ্ট মব, জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা—এসব অনিয়মই প্রমাণ করে নির্বাচন নিরপেক্ষ নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ওএমআর মেশিন চাইনি, কিন্তু জামায়াত ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালট দিয়েই ভোটগ্রহণ চলছে। এমনকি ১০ থেকে ২০ শতাংশ ব্যালট শিবিরকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। মেয়েদের হলে একই শিক্ষার্থী একাধিকবার ভোট দিয়েছেন। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন।”
এ নির্বাচনকে “কারচুপি ও প্রহসন” আখ্যা দিয়ে বৈশাখী বলেন, “শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না, তাই আমরা নির্বাচন বর্জনে বাধ্য হয়েছি।”
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ২২৪টি বুথে ভোট হয়। বেশিরভাগ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয় বলে জানা গেছে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। নির্বাচনে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।
একুশে সংবাদ/এ.জে