কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জন ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং অপরজন কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে দোহার উত্তর কাতারা এলাকায় আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টানা ৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো খসড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় তাদের নেতাদের বৈঠকস্থলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল। তবে শীর্ষ নেতাদের কেউই নিহত হননি।
বিবৃতিতে হামলাকে “ঘৃণ্য অপরাধ”, “নির্লজ্জ আগ্রাসন” ও “আন্তর্জাতিক আইনের অশালীন লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া ও পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যার উদ্দেশে এই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে অংশ নেয় ১৫টি যুদ্ধবিমান, এবং পুরো অভিযান চলে মাত্র ১০ মিনিট।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তাদের লক্ষ্য করেই এই ন্যায্য হামলা পরিচালিত হয়েছে।”
কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করলেও হামাসের নাম উল্লেখ করেনি। অন্যদিকে কাতার সরকার এ হামলাকে “কাপুরুষোচিত” আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে