কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলার আগে দোহাকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং হামলার বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। সেই আলাপের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিশেষ দূত স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে কাতারকে সতর্কবার্তা পাঠান। পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকেও বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, হামলার পরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারি নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম কাতার। দেশটিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাত থামাতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই প্রস্তাব নিয়েই দোহার একটি ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়াসহ গোষ্ঠীটির উচ্চপর্যায়ের সদস্যরা। বৈঠকের মাঝেই ভবনটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, খলিল আল হায়া ও পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যার উদ্দেশেই অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে লক্ষ্য সফল হয়নি।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় তাদের কোনো শীর্ষ নেতা নিহত হননি। তবে অন্তত ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫ জন হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। তবে দোহায় ইসরায়েলের এ হামলা সেই লক্ষ্য অর্জনে কোনোভাবেই সহায়ক হবে না।”
একুশে সংবাদ/এ.জে