রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে অভিযান চালানোর মধ্যে সেম নদীর ওপর কৌশলগত দিকে থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু ধ্বংস করার দাবি করেছে ইউক্রেন। ক্রেমলিন ওই সেতু ব্যবহার করে সেনা সরবরাহ করে আসছিল, এটি ধ্বংস হওয়ায় সেই কাজ ব্যাহত হতে পারে। তবে সেতু ধ্বংসের খবরে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনরা তাদের অবস্থান শক্ত করেছে।
রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের বাহিনী অনুপ্রবেশ করে যে অভিযান চালাচ্ছে তা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালো। কুরস্কে অঞ্চলে সামরিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক এক কমান্ডার।
অন্যদিকে রাশিয়াও জানিয়েছে, অঞ্চলটি থেকে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণা দেন পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৯০৪ দিনের মতো চলছে এই যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে হঠাৎ করেই অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এরপর সাত দিনেই এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করে কিয়েভ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এবারই প্রথম কিয়েভের সেনারা শত্রুভূমির অনেকখানি ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে। তবে কিয়েভ জানিয়েছে, তারা রুশ ভূখণ্ড নিজেদের দখলে রাখতে চায় না।
শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সিনিয়র সহযোগী মাইখাইলো পোদোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে চায় না। রাশিয়ায় তাদের অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা।
তিনি জানান, ইউক্রেন দেখিয়ে দিচ্ছে যে তারা রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে সক্ষম। আর এটাই হবে রাশিয়াকে আলোচনায় বসতে চাপে ফেলার একটি প্রমাণিত ও কার্যকর উপায়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :