রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (BCFCC) শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা ২০২৫। এসময় ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
বুধবার (১৫ই অক্টোবর) এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট-এর আয়োজনে ১২ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী ২৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব জসিম উদ্দিন আহমেদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবিদ উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র (BCFCC) এবং এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র (BCFCC) এবং এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট।
বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আজকে ১২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমাদের দেশে বাণিজ্য মেলার ইতিহাস দীর্ঘদিনের, তবে এখন সময় এসেছে একে আবারও রপ্তানিমুখী করার। আগে এই মেলাগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, এখন তা ক্রমে এক ধরনের জাতীয় অনুষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন, কখনো কখনো তিন লাখেরও বেশি। বিদেশি অংশগ্রহণকারীরা তাদের পণ্য প্রদর্শন করেন, দেশীয় উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি পণ্য তুলে ধরেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের পণ্যের প্রতি আগ্রহ ও বাজার বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক বাণিজ্য মেলা বা সোর্সিং ফেয়ার আয়োজন হয় না, যা উন্নত দেশগুলোতে নিয়মিতভাবে হয়। এমন উদ্যোগ ব্যবসা সম্প্রসারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন বানিজ্য সচিব।
বিশেষ অতিথি জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশি পণ্য যত বেশি ব্যবহার করবেন, ততবারই হবে দেশের জন্য কল্যাণকর। দেশীয় উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ যত বাড়বে, আমাদের ব্যবসা তত বেশি টেকসই হবে। আমাদের দেশে বাণিজ্য মেলা শুধু বিক্রির সুযোগ নয়, বরং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে যারা আসছেন, তাদের উদ্যোগটাই আসল। এই উদ্যোগ ছাড়া কোনো কিছুতেই সফলতা আসে না। ভালো পরিবেশ, নিরাপত্তা ও সহযোগিতা ছাড়া উদ্যোক্তারা সামনে এগোতে পারেন না। আমাদের প্রতিষ্ঠান সবার জন্য নিরাপদ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ সময় মেলার আয়োজক এক্স-গ্রুপ জানায়, এই আয়োজনের লক্ষ্য হলো দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরি, স্থানীয় পণ্যের বিপণন সম্প্রসারণ, এবং দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপদ, পারিবারিক ও বিনোদনসমৃদ্ধ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ- শিশুদের জন্য কিডস জোন; আধুনিক ফ্যাশন ও কসমেটিক্স প্যাভিলিয়ন; জনপ্রিয় খাবারের ফুড কর্নার ও স্টলসমূহ; স্বাস্থ্যসেবায় ইউনিকো হাসপাতাল-এর বিশেষ বুথ।
এ সময় মেলায় অংশ গ্রহণ করা সকল প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু