আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে সকলের অংশগ্রহণে, চট্টগ্রামের মেজবানি খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উত্তরা মডেল ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২৫-২৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে উদ্দীপনা। সুষ্ঠ নির্বাচন পরিচালনায় নেওয়া হয়েছে সকল ধরনের পদক্ষেপ, জানিয়েছেন এই নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার। উন্নয়নের প্রার্থীকে ভোট দিবেন ভোটাররা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ক্লাবের নিজস্ব ভবনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে সকালে ক্লাব প্রাঙ্গণে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে ২ জন ও কার্যকরী সদস্য পদে ২৩ জন সহ মোট ২৫ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০০ হলেও ভোট প্রয়োগ করবে প্রায় ৮০০ জন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে এস এম মাসুদ আলম তপন ও দেলোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোঃ শাহিন, এস এম বিল্লাল হোসেন, ইঞ্জি. মোঃ আব্দুল মোমিন, এ কে এম মোস্তফা সালাম, মোঃ মোস্তফা সরোয়ার টিটু, মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হাকিম, মোহাম্মদ আবদুল জলিল, মোঃ নুরুল হক, মোহাম্মদ ফজলুল হক, ফজলুল হক খান, মহিউদ্দিন তাহের, শাহানাজ পান্না, হাসিনুর রহমান, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শাহ আলী, মোঃ মাজেদুল হক, মোঃ খালেদুর রহমান, সৈয়দ মোঃ আমির খসরু রানা, মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এস এম ইমদাদ হোসেন, মহাসিনা আহমেদ ও গাজী মোঃ আব্দুল মালেক পিপিএম। নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী জয়ী হবে।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একাধিক প্রার্থী একুশে সংবাদকে বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠ করতে সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। আমরা প্রার্থীরা ভাই ভাই। যেই জয়ী হবে তার সাথে এক হয়ে এই উত্তরা মডেল ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করব। ক্লাবের অনেক অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব। ক্লাবের সকল সদস্য এই ক্লাবের মালিক, সকলের পরামর্শে উন্নয়ন মূলক কাজ করব। এছাড়াও আগামী দিনে সামাজিক ও মানবিক কাজের দিকে মনোযোগী হবো।
একাধিক ভোটার বলেন, এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের আপনজন। সবাইকে তো জয়ী করতে পারবোনা তবে যেই জয়ী হবে সে সকলকে নিয়ে এই উত্তরা মডেল ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। ক্লাবের সকল সদস্যদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী একে অপরের প্রতি আন্তরিক। কোন বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই। ভোটার বা প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় নি। যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা রোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু