প্রথম থেকেই স্পিন দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। বিশেষ করে অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের ঘূর্ণিতে ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ। তার বোলিং তোপে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষদিকে দাসুন শানাকার হার না মানা ৩৫ রানে কিছুটা লড়াইয়ের মতো পুঁজি দাঁড় করায় তারা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ উইকেট শিকার করেন শেখ মেহেদি হাসান।
খেলার শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে সীমানায় তাওহিদ হৃদয়র হাতে ধরা পড়েন কুশল মেন্ডিস।
অপরপ্রান্তে স্পিন আক্রমণ চালান শেখ মেহেদি। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান তিনি। তার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুশল পেরেরা। পরের ওভারে দীনেশ চান্দিমালকেও সাজঘরে পাঠান তিনি।
মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লঙ্কানদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। কিন্তু ইনফর্ম এই ব্যাটারকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মেহেদি। তার স্পিন ভেলকিতে বিভ্রান্ত হয়ে ৮ বলে মাত্র ৩ রান করে বোল্ড হন আসালঙ্কা।
বাকি ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিল চালালেও একপ্রান্ত ধরে রাখেন পাথুম নিশাঙ্কা। ফিফটির পথে থাকা এই ব্যাটারও শেষ পর্যন্ত মেহেদির শিকার হন। ফেরার আগে ৩৯ বলে করেন ৪৬ রান।
লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে কামিন্দু মেন্ডিস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেট হয়ে যাওয়ার পরও দলের বিপদে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তাকে ২১ রানে ফেরান শামীম হোসেন।
৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ইনিংসের হাল ধরেন দাসুন শানাকা। তাকে সঙ্গ দিতে চেষ্টা করেন জেফার ভান্ডারসাই। তবে ১৪ বলে মাত্র ৭ রান করে বিদায় নেন ভান্ডারসাই। শেষদিকে শানাকার ব্যাটেই কিছুটা লড়াকু স্কোর পায় লঙ্কানরা। ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন শরিফুল, মুস্তাফিজুর ও শামীম হোসেন।
জয়ের জন্য এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ১৩৩ রান।
একুশে সংবাদ/এ.জে