নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ২৫ বস্তা চাল পাচারের সময় দুইজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামের এম এ ওয়াহেদ ইটভাটার কাছে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—টিসিবির ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়নের বাড়ী চানগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা ।চালক আলম মিয়ার বাড়ী মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্দর গ্রামে ।
আটকের পর সেনাবাহিনী জব্দকৃত চাল, পিকআপ ভ্যানসহ দুইজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে থানায় নেওয়ার পথে টিসিবির ডিলার শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পুলিশের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যান।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মদন থানা একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। থানায় আনার সময় শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পালিয়ে যান। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।”
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। পরে স্থানীয়দের সন্দেহে আখাশ্রী গ্রামে একটি পিকআপসহ ২৫ বস্তা চাল আটক করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ অলিদুজ্জামান ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টিসিবির পণ্য পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী অভিযুক্তদের গাড়িসহ মদন থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, কালোবাজারি চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে, যার ফলে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা বারবার ঘটছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে পালিয়ে গেছেন, নাকি তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে—সে নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/নে.প্র/এ.জে