চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট-বল কোনোদিকেই সুবিধা করতে পারছে না বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তৃতীয় দিনে অল্পেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। ফলো অনে পড়ে ব্যাট করতে নেমেও একই গল্প আবার লিখছে শান্তর দল।জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চা বিরতি পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অল আউট হওয়া বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৪৩ রান। ছয় উইকেটে ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখনো ৩৭৩ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
বিশাল লিড পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে ফলো অনে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রথম ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও ব্যর্থ টপ অর্ডার। সাদমান ইসলাম ৬, মাহমুদুল হাসান জয় ১১ ও জাকির হাসান ৭ রানে আউট হন।
প্রথম ইনিংসে ভালো করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মেরেছেন মুমিনুল হক। তাতে ইনিংস ব্যবধানে বড় হারের লজ্জার মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থেকে ব্যাট করতে নামবেন।
এর আগে ৩৮ রানে চার উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচে ফিরতে দিনের শুরুটা ভালো হওয়া দরকার ছিল স্বাগতিকদের। তবে হয়েছে উল্টোটা। নাজমুল হোসেন শান্ত আগের দিনের সঙ্গে ৩ রান যোগ করতেই আউট হন।
মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেননি। তিনি ১ রান করেন।
দিনের খেলায় মাত্র ১০ রান যোগ করতে ৪ উইকেট হারিয়ে বড়সড় বিপদের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। ধংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে ফিফটি করেন মুমিনুল। তিনি ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও।
ব্যক্তিগত ৮২ রানে মুথুসামির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুমিনুল। এতে ভেঙে যায় নবম উইকেটে তাইজুলের সঙ্গে তার ১০৩ রানের জুটি। শেষ উইকেট হিসেবে তাইজুল ৩০ রানে আউট হন।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা পাঁচটি, ডেন পিটারসন ও কেশভ মহারাজ দুটি এবং সেনুরান মুথুসামি একটি করে উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :