বাগেরহাটের রামপালে সাবেক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডি আইজি) শেখ ওমর ফারুকের প্রভাব খাটিয়ে জমি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী তালুকদার আলতাফ হোসেনের পরিবার স্থানীয় ইস্রাফিল বাহিনীর নেতৃত্বে এ দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রামপালের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন তালুকদার আলতাফ হোসেনের স্ত্রী আমিরুন্নেছা ও কন্যা ফারহানা জান্নাত। ফারহানা জান্নাত বলেন, “আমরা দাদীর অংশ ক্রয় করে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করছি। সেখানে কিছু দোকানঘর তৈরি করে ভাড়াও দিচ্ছি। হঠাৎ আমার ছোট চাচা তার ভাগের অংশ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুকের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু তিনি সেই জমিতেই দখল স্থাপন করে আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে ভাংচুর ও বাশ দিয়ে বাধা দিচ্ছেন।”
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, রামপাল থানা, অস্থায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্প, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।
অভিযুক্ত ইস্রাফিল জানান, “আমরা কোনো ভাংচুর করিনি, শুধু সীমানা প্রদর্শনের জন্য বাশ দিয়েছি।” সাবেক সিআইডি কর্মকর্তা শেখ ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মিটিংয়ে আছি, পরে এ বিষয়ে কথা হবে।”
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আতিকুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, পরিমণি মডেল গ্রেফতারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য শেখ ওমর ফারুককে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি চারদলীয় জোট সরকারের সময় জেলা নেত্রকোনার এসপি ছিলেন এবং বিএনপি আমলে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ও পেয়েছিলেন।
ওমর ফারুকের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে। তিনি ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশে যোগদান করেন এবং প্রায় ২৯ বছর চাকরি করেছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে