নাদার গর্ভে ৭ মাসের সন্তান রয়েছে। এই অবস্থাতেই অলিম্পিকের ফেন্সিংয়ে লড়েছেন তিনি। এই বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। তবে এরই মধ্যে শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে উঠে আসা ২৬ বছর বয়সী নাদা হাফেজ পেশায় একজন চিকিৎসক। এ নিয়ে টানা তিন অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিলেন নাদা হাফেজ। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও প্যারিস অলিম্পিকের মঞ্চে নাদা দারুণ লড়াই করায় অনেকেই তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে সোমবার নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন নাদা। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা-ইয়াং জিওনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি; হেরে যান ১৫-৭ পয়েন্টে।
প্যারিস অলিম্পিক থেকে বিদায় নেয়ার সময় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত হন নাদা। হাত নেড়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার মুহূর্তে কেঁদেও ফেলেন।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে (প্রতিপক্ষকে) দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছি। এটা গর্বের। এটা আমার মাতৃত্বকে পূর্ণতা দিয়েছে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :