অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স পর্বে পাকিস্তানের কাছে ৫ রানে ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশকে ৩৮.১ ওভারের মধ্যে করতে হতো ১৫৬। তবে সেই রানটুকুও করতে পারেনি যুব টাইগাররা। ফলে সেমি খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। পাকিস্তানের বোলিং তোপে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে জুনিয়র টাইগাররা।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৫ রানেরই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। তার পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৭৭ রানেরই পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল রাব্বিরা। এদিন ১২ বলে ১৯ রান করে জিশান আউট হলে, ১১ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শিবলি।
এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটারও। ২০ বলে ৩০ রান করে কট আউট হন তিনি। এতে দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা।
তবে আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি আমিন। ২৩ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আমিনের বিদায়ের পর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুলও। ২০ বলে ১৪ রান করে পয়েন্টে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
পারভেজ জীবন ৯ বলে ২ রান করে আউট হলে ম্যাচ জেতা কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশে জন্য। তবে মাহফুজুর রহমান রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শিহাব জেমস। ৪৩ বলে ২৬ রান করে জেমস আউট হলে ৩০ বলে ১৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রাব্বি।
দুই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ইকবাল হোসেন ইমন ৪ রানে আউট হলে জয়ের জন্য লড়াই করতে থাকেন রোহানত দৌল্লাহ বর্ষণ। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের।
মারুফ মৃধা ৪ রান করে বোল্ড আউট হলে ৯৫ বল হাতে থাকতেই ১৫০ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ২৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বর্ষণ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন উবাইদ শাহ। তিন উইকেট শিকার করেন আলি রাজা। এক উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ জিশান।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :