দীর্ঘ ৩৫ বছর প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে ১৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বহুল প্রতিক্ষীত এই নির্বাচনে ভোট দেবেন ২৭ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থী। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
গত সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) চাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন ছিলো। এদিন ক্যাম্পাস এবং শহর জুড়ে প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ ও প্রচার-প্রচারণা করেন।
চাকসু নির্বাচনে লড়তে প্যানেল হয়েছে ১৩টি। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে বৃত্ত পূরণ করে ভোট দেবেন। একাধিক বৃত্ত পূরণ করলে সেই ভোট বাতিল হবে।
এর মধ্যে ছাত্রদলের প্যানেল; ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’, বামপন্থী ছাত্রসংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ১০টি সংগঠন মিলে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ (৩ পদে কেউ নেই), ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ প্যানেল ‘দ্রোহ পর্ষদ’ (৯টি পদে কেউ নেই) এবং জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্ট’স অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি ও ছাত্র ফেডারেশনের জোটবদ্ধ প্যানেল ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্যের’ মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ আ.ট./ সাএ